bdnewsi Homepage

গাজা সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র

Update: 08/10/2024

যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অতিরিক্ত ৩.৫ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অর্থ আমেরিকান-নির্মিত অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যবহৃত হবে। গাজা যুদ্ধ দশম মাসে প্রবেশ করায় এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদ্বেগের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মূল বিষয়সমূহ:

  • নতুন সামরিক সহায়তা: যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পাঠাবে। এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যবহৃত হবে।
  • ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: এই সহায়তা ১৪.৫ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল প্যাকেজের অংশ, যা কংগ্রেস এপ্রিল মাসে অনুমোদন করেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক সামরিক সহায়তা হিসেবে ইসরায়েলকে দেওয়া ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পরিমাণ অর্থের সাথে যোগ হবে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদ্বেগ

  • ইসরায়েলি সামরিক ইউনিটের প্রতি নজরদারি: নতুন সহায়তার একটি অংশ সেই ইসরায়েলি সামরিক ইউনিটের কাছে যাবে, যেটি পশ্চিম তীরে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। এই ইউনিটটি ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকদের প্রতি নির্যাতনের সাথে যুক্ত।
  • যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া: অভিযোগ সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্র এই ইউনিটের সহায়তা বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তারা লঙ্ঘনগুলো সমাধানে ইসরায়েলের প্রচেষ্টায় সন্তুষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ইউনিটটির নাম উল্লেখ করেনি, তবে এটি সম্ভবত নেথজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন বলে মনে করা হচ্ছে, যা পূর্বে অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছে।

নেথজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন সম্পর্কে পটভূমি

  • অভিযোগ: নেথজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকদের প্রতি নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত, যার মধ্যে একটি ৭৮ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ব্যক্তির মৃত্যু অন্তর্ভুক্ত, যিনি ২০২২ সালে এই ইউনিটের দ্বারা আটক হয়েছিলেন।
  • যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন স্বীকার করেছেন যে এই ব্যাটালিয়ন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ করেছে। তবে, রিপাবলিকানদের উদ্বেগের জবাবে, ব্লিংকেন ইসরায়েলকে বিষয়টি সমাধানের সময় দেওয়ার জন্য ইউনিটটিকে সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

চলমান সমালোচনা

  • মানবাধিকার লঙ্ঘন: গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সমালোচনা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বেসামরিক লোকদের টার্গেট করা, বাড়িঘর, হাসপাতাল এবং স্কুল ধ্বংস করা, এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরবরাহ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
  • সাম্প্রতিক ঘটনা: সম্প্রতি ১০ জন ইসরায়েলি সৈন্যের বিরুদ্ধে একটি ফিলিস্তিনি বন্দীর সাথে গ্যাং রেপের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা ভিডিওতে ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের দীর্ঘ তালিকায় যুক্ত হয়েছে।

রেফারেন্স: